দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে অবিভুক্ত বাংলায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ১৯৪৩ সালে সিভিল সাপ্লাই বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান নামক নতুন রাষ্ট্রের সভুদয় ঘটে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানে ফুড এন্ড সিভিল সাপ্লাই বিভাগ নামে এর নবযাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে খাদ্য অধিদপ্তর নামে পূর্ণগঠিত হয়। মানুষের মৌলিক চাহিদার অনুষদ খাদ্য। সবার জন্য খাদ্যের সংস্খান করাই খাদ্য অধিদপ্তরের প্রধান কাজ। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সারাদেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা খাদ্য দপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন সাইলো সিএসডি ও এলএসডির মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন দপ্তর উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যাবলী বাস্তবায়ন করে থাকে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত শোষণহীন বাংলাদেশ বির্নিমান। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে খাদ্য অধিদপ্তর শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধাহোক নিরুদ্দেশ ভিশন শ্লোগান ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথম ও প্রধান অনুষঙ্গ। সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহের মাধ্যমে এবং প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন সংকটে বিদেশ হতে আমদানী করে নিরাপদ ও কার্যকর খাদ্য মজুদ গড়ে তোলা। সেই সাথে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে চালু রেখে সবার জন্য খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস